Description
তখনো পুবের আকাশে ভোরের সূর্যের লালিমা চোখে পড়ে নাই। আজ অনেকদিন পরে আকাশে তারা মিটিমিটি করিয়া জ্বলিতে দেখিলাম। প্রাতঃভ্রমণের জন্য লোকজন ঘর হইতে বাহির হইয়া গিয়াছেন। কেউ দৌড়াইতেছেন, কেউ বা হাঁটিয়া পায়চারি করিতেছেন। কেউ বা ফজরের নামাজ পড়িবার জন্য মসজিদে যাইতেছেন। কেউ আবার ভোরের ট্রেনে চড়িয়া কর্মস্থলে যাইবার জন্য স্টেশনের অভিমুখে চলিয়াছেন।
ভোর হইবার দৃশ্য অবলোকন করিতে করিতে কখন যেন পুবের আকাশে সূর্যের লালিমা ভাসিয়া উঠিয়াছে, ইহা আজ অনুধাবন করিতে পারিলাম না। আজ আমাদের এইখানে হাটের দিন। এই এলাকাটি ঘিরিয়া মানুষের আনাগোনা শুরু হইয়া গিয়েছে। ভোর হইতেই দূরদূরান্ত থেকে হাটে ব্যাপারীরা আসিতে শুরু করিয়াছেন। তাহাদের হাক-ডাক হৈ-হুল্লা আর চেঁচামেচিতে এই এলাকাটি মুখরিত হইয়া পড়িয়াছে। কে কোথায় কী দোকান বসাইবেন, তাহা লইয়া হাটের কর্তাবাবুদের সঙ্গে দর কষাকষি করিতেছেন। দোকান সাজাইয়া-গুছাইয়া লইতে একেকজন ব্যস্ত সময় কাটাইতেছেন।
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন জাতের ইলিশ মাছের জন্য এই হাট প্রসিদ্ধ। তাহা ছাড়া সাগরের লোনাপানির নানা ধরনের ছোটবড় মাছও এখানে পাওয়া যায়। দেশী খালবিলের ছোটবড় মাছসহ চাষের সব ধরনের মাছ এই হাটে সারাবছর দেখিতে পাওয়া যায়। উঁচু-নিচু পাহাড়ের পাদদেশ হওয়ায় এইখানে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ফলে। যেদিকে তাকাই, সেইদিক চোখ জুড়াইয়া সবুজে সবুজে সয়লাব হইয়া আছে। পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে শাকসবজি, তরিতরকারি হইতে শুরু করিয়া নানা ধরনের ফলমূল এই হাটে আসে।…
Reviews
There are no reviews yet.