Description
রবীন্দ্রনাথের অন্তরেও ছিল বাউলসত্তা। কুষ্টিয়ায় এসে তা পূর্ণতা পেয়েছে। বাউলদের সঙ্গে তিনি একাত্মা হয়েছেন, দেখেছেন। এমনকি বাউলের পোশাকও পরেছেন। রবীন্দ্রনাথকে বলা হতো খ্যাপা বাউলকবি। জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে না জন্মে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করলে তিনিও হয়তো বাউলের মতো একতারা হাতে গান গেয়ে খ্যাপার মতো ঘুরে বেড়াতেন। কেননা, বাউলদের অন্তরের প্রেরণা এবং রবীন্দ্রনাথের প্রেরণা যে একা
বাউল সংস্কৃতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ছিল প্রাণের যোগ। তাই তিনি নিজেকে বাউল সম্প্রদায়েরই একজন মনে করতেন। বাউল সংস্কৃতির সঙ্গে যাঁর নাম গভীরভাবে জড়িয়ে আছে, বাউলের গান ও দর্শনকে যিনি নিজের করে নিয়েছিলেন, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গের কালে তিনি বাংলার লোকগান বাউল-সারি-ভাটিয়ালির সুরে যেসব স্বদেশি গান লিখলেন, ওই বছরেই তা বই হয়ে প্রকাশিত হলো ‘বাউল’ নাম দিয়ে।
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের ‘হারামণির ভূমিকায় এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘শিলাইদহে যখন ছিলাম, বাউলদলের সঙ্গে আমার সর্ব্বদাই দেখা-সাক্ষাৎ ও আলাপ-আলোচনা হত। আমার অনেক গানেই নেই আমি বাউলের সুর গ্রহণ করেছি এবং অনেক গানে অন্য রাগরাগিণীর সঙ্গে আমার জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে বাউলসুরের মিল ঘটেছে। এর থেকে বোঝা যাবে, বাউলের সুর ও বাণী কোন এক সময়ে আমার মনের মধ্যে সহজ হয়ে মিশে গেছে। আমার মনে আছে তখন আমার নবীন বয়স, শিলাইদহ অঞ্চলেরই এক বাউল কলকাতার একতারা বাজিয়ে গেয়েছিল,
Reviews
There are no reviews yet.