Description
মির্জা মতিন চৌধুরী নামে ন্যায়পরায়ণ এক জজ ছিলেন। এজলাসে বসে যে-কোনো মামলার রায় লেখার সময় স্মরণ করতেন বিশ্বজগতের একমাত্র প্রতিপালককে, যিনিই বিচার দিনের মালিক। বিশেষ করে খুন-খারাপির মতো স্পর্শকাতর মামলাগুলোর রায় দেওয়ার মুহূর্তে বারবার স্মরণ করতেন নিখিল জাহানের সুমহান ন্যায়বিচারক, দণ্ডমুণ্ডের সেই একমাত্র কর্তাকে যার কাঠগড়ায় তাকেও যে একদিন দাঁড়াতেই হবে। মির্জা মতিন চৌধুরী নিজের কর্মঘণ্টা আজ ইতি টানলেন একটি হত্যা মামলার রায় দেওয়ার মাধ্যমে। ৩০২ ধারায় আসামি মকবুলকে দিলেন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ। কিন্তু এই মামলার রায় লিখতে তার কলমটা যেন চলতে চাচ্ছিল না, ভেতর থেকে কে যেন ধাক্কা দিচ্ছিল বারবার। রায় শুনে আসামির হাউমাউ করে কান্না বুকের মধ্যে ঝড় তুলেছিল জজ সাহেবের। বারবার নিজেকে প্রশ্ন করছিল, এই গোবেচারা কিসিমের আবেগি মানুষটা কি আসলেই খুনের সঙ্গে জড়িত?






Reviews
There are no reviews yet.